vcBux

Tuesday, 12 April 2011


স্টাফ রিপোর্টার
সংগঠন শক্তিশালী ও জনগণের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আন্দোলন জোরদার করতে শিগগিরই সারাদেশে সাংগঠনিক সফর শুরু করবে বিএনপি। আগামী ২৩ এপ্রিল ঢাকায় দলের নির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এরপর থেকে শুরু হবে এ সফর। এ সফরের জন্য দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার পরামর্শে কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে এরই মধ্যে ১৯টি টিম গঠন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, আমরা প্রতিটি জেলায় সাংগঠনিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দলকে আরও শক্তিশালী করতে চাই। এ কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। দলকে সংগঠিত করার জন্য আমাদের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নির্দেশে কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে সারাদেশে সাংগঠনিক সফরের কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই এ সফর শুরু হবে। সবকিছু চূড়ান্ত হলে তা জানানো হবে।
৬ এপ্রিল বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটিতে ৫ দিনের কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। এতে রয়েছে : ১৮ এপ্রিল গ্যাস সঙ্কট, ২৪ এপ্রিল বিদ্যুত্ সঙ্কট সমাধান, ২৬ এপ্রিল দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং ৫ মে শেয়ার কেলেঙ্কারির প্রতিবাদে ঢাকাসহ সব বিভাগ ও জেলা সদরে সমাবেশ, মিছিল এবং স্মারকলিপি পেশ করা হবে। ৯ মে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিতে ঢাকাসহ সারাদেশে সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও মহান মে দিবস উপলক্ষে আগামী ২ মে ঢাকায় শ্রমিক দলের কাউন্সিলে খালেদা জিয়া বক্তৃতা করবেন।
২৩ এপ্রিল ঢাকায় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে।
অবশ্য গ্যাস-পানি-বিদ্যুত্ সঙ্কট, শেয়ারবাজার, ভারতের সঙ্গে ঋণসহ বিভিন্ন অসম চুক্তি, বিচার বিভাগ ও প্রশাসনে দলীয়করণ, রাজনৈতিক মামলা একতরফা প্রত্যাহার, উপজেলা চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ বাবু হত্যাকাণ্ডসহ সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করে আসছে দলটি।
বিএনপি নেতাদের সঙ্গে আলাপে জানা গেছে, এখন জেলা-উপজেলাসহ তৃণমূল পর্যায়ে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসন, তৃণমূল পর্যায়ে সরকারের ব্যর্থতা ও জনস্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ড তুলে ধরে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন গড়ে তোলার জন্যই সারাদেশ সফরের নির্দেশ দিয়েছেন খালেদা জিয়া।
জানতে চাইলে যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান জানান, এরই মধ্যে ১৯টি টিম গঠন করা হয়েছে। আজ-কালের মধ্যে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনা করেই সফরের সময়ক্ষণ নির্ধারণ করা হবে। সারাদেশ সফরের জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে এসব টিম গঠন করা হয়েছে। চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা, ভাইস চেয়ারম্যান, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতাকে এসব টিমে অন্তর্ভুক্ত রাখা হয়েছে। আজ-কালের মধ্যে দেশব্যাপী সাংগঠনিক সফরের জন্য গঠিত এসব টিমের সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হবে।
অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম জানান, ২৩ এপ্রিল জাতীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠক শেষে সাংগঠনিক সফর শুরু হতে পারে।

মানবাধিকার লংঘনকারী রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে বাংলাদেশ


মানবাধিকার লংঘনকারী রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে বাংলাদেশ

বশীর আহমেদ
মার্কিন মানবাধিকার রিপোর্ট প্রকাশের পর এখন বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভয়াবহ চিত্র নিয়ে সর্বত্রই আলোচনা হচ্ছে। মার্কিন মানবাধিকার রিপোর্টে বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা, রিমান্ডের নামে নির্যাতন, বিচার বিভাগ দলীয়করণ ও ন্যায়বিচার না পাওয়া, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ, রাজনৈতিক সহিংসতা, সীমান্তে হত্যাসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিস্তারিত বিবরণ উদাহরণসহ তুলে ধরা হয়েছে। তবে মার্কিন এই রিপোর্ট সম্পর্কে বাংলাদেশের মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, মার্কিন মানবাধিকার রিপোর্টটি হতাশাজনক। বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ও কলামিস্ট বদরুদ্দীন উমর বলেছেন, বাংলাদেশ এখন মানবাধিকার হত্যাকারী রাষ্ট্র। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, যাদের দায়িত্ব মানবাধিকার রক্ষা করা তারা এখন ইচ্ছেমত মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান মিঞা তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, বাংলাদেশে এখন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
উল্লেখ্য, মার্কিন মানবাধিকার রিপোর্টে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে বলা হয় :
বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েই চলেছে। আটক অবস্থায় মৃত্যু, নির্যাতন, অযৌক্তিকভাবে গ্রেফতার এবং ডিটেনশনের জন্য এই নিরাপত্তা বাহিনী দায়ী। বিচারবহির্ভূত এসব হত্যা এবং বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত র্যাবের ব্যাপারে সব ধরনের তদন্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। এটা গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে। নিরাপত্তা বাহিনীর কিছু সদস্য এ ধরনের অপরাধ করছে এই নিশ্চয়তা নিয়ে যে, তাদের কোনো শাস্তি হবে না। এতে বিচারের আগেই কারাগারে মৃত্যুঝুঁকির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। কর্তৃপক্ষ নাগরিক অধিকারকে উপেক্ষা করেছে। বিচার বিভাগকে অব্যাহতভাবে রাজনীতিকীকরণ করায় বিচারব্যবস্থায় বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে। এর ফলে বিশেষ করে বিরোধী দলের জন্য এখন ন্যায়বিচার পাওয়ার সুযোগ
সীমিত হয়ে গেছে। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার গণমাধ্যম এবং জনগণের বাকস্বাধীনতাকে সীমিত করে ফেলেছে। গণমাধ্যমগুলো সেলফ সেন্সরশিপ করতে বাধ্য হচ্ছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা প্রতিনিয়ত হয়রানি করছে সাংবাদিকদের। সরকার সভা-সমাবেশের অধিকারকে সীমিত করেছে এবং অব্যাহত রয়েছে রাজনৈতিক সহিংসতা। এটা এখন একটি বড় সমস্যা।
সরকারি পর্যায়ে দুর্নীতি অব্যাহত গতিতে চলছে এবং দুর্নীতির সঙ্গে যারা যুক্ত, তারা শাস্তির বাইরে থেকে যাচ্ছে। নারীর প্রতি বৈষম্য এবং নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা একটি ভয়াবহ সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে বাংলাদেশে। নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হচ্ছে নারীরা। মানব পাচার এখনও বড় সমস্যা।
মার্কিন মানবাধিকার রিপোর্ট সম্পর্কে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান আমার দেশকে বলেন, যেনতেনভাবে এ রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। এখানে অনেক পুরনো তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
মার্কিন মানবাধিকার রিপোর্টে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিভিন্ন ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়েছে। উদাহরণসহ এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, এখানে নতুন কিছু নেই। বিষয়গুলো আমাদের জানা।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের এসব ঘটনা বন্ধে কমিশন এখন কী পদক্ষেপ নেবে—এ প্রশ্নের জবাবে কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধ করতে আমরা যে কৌশল প্রণয়ন করছি সেখানে বিষয়গুলো বিবেচনায় নেয়া হবে।
বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, কলামিস্ট ও রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমর মার্কিন রিপোর্ট ও বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে আমার দেশকে বলেন, মার্কিন মানবাধিকার রিপোর্টে যেসব তথ্য এসেছে, তার সত্যতা আছে। তবে তাদের এই রিপোর্ট নিয়ে আমাদের হৈচৈ করার কিছু নেই। আমরাই ভালো জানি আমাদের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে। আমরাই এর ভুক্তভোগী। মার্কিন রিপোর্টে যেসব বিষয় এসেছে, সেসব ব্যাপারে আমরা বলে বলে হয়রান হয়ে গেছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন মানবাধিকার রিপোর্ট দিচ্ছে; কিন্তু তাদের সমর্থন নিয়েই তো সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। তিনি বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সর্বোচ্চ পর্যায়। এর বাইরে আরও ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। কথায় কথায় গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন। আপনার সম্পাদককেও তো বারবার রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করেছে। বিচারকরাও এখন রিমান্ডের অনুমতি দিয়ে দেন। তিনি আরও বলেন, এখন সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হয় না। হরতাল করতে বাধা দেয়া হয়। হরতাল ভালো না খারাপ তা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে; কিন্তু হরতাল একটি গণতান্ত্রিক অধিকার।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে আমার দেশকে বলেন, মার্কিন মানবাধিকার রিপোর্টে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যেসব ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে, তার সবই ঠিক। এসব মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তো আমরা এখন পত্রিকার পাতায় প্রতিনিয়ত দেখতে পাই। বিচারবহির্ভূত হত্যা এখন ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। এখানে যার যা খুশি তা-ই করছে। সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ আছে বলে আমার মনে হয় না। বর্তমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হলো, যাদের হাতে মানুষের মৌলিক মানবাধিকার রক্ষার দায়িত্ব তাদের হাতেই মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। কোনো সভ্য সমাজে এটা চলতে পারে না। মানবাধিকার রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার যদি পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। মানবাধিকার রক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকা ইতিবাচক। বিরোধী দলের উচিত সংসদে মানবাধিকার ইস্যুতে সোচ্চার হওয়া।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী প্রফেসর ড. মনিরুজ্জামান মিঞা তার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। মার্কিন মানবাধিকার রিপোর্টে তারই প্রতিফলন হয়েছে। আমি মনে করি, মার্কিন এই রিপোর্টটি তথ্যভিত্তিক। বিচারবহির্ভূত হত্যা, ন্যায়বিচার না পাওয়া, দুর্নীতি, রাজনৈতিক সহিংসতাসহ যেসব বিষয় রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে তা সঠিক। তিনি বলেন, এখন সরকার যদি বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার পাশাপাশি মানবাধিকার রক্ষায় সচেষ্ট হয় তাহলেই কেবল পরিস্থিতির উন্নতি ঘটতে পারে।

Tuesday, 29 March 2011

শোয়েবকে সেমিফাইনালে খেলানোর পক্ষে আকরাম

স্পোর্টস ডেস্ক
চলতি বিশ্বকাপের পর একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর দেখা যাবে না পাকিস্তানের গতি তারকা শোয়েব আখতারকে। ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন তিনি। এ কথা ক’দিন আগেই জানিয়ে দিয়েছেন শোয়েব। এখন ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটি খেলার অপেক্ষায় আছেন। গ্রুপপর্বে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার পর আর কোনো ম্যাচেই মাঠে নামেননি রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস শোয়েব আখতার। তাকে ছাড়াই কোয়ার্টার ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দশ উইকেটে বিধ্বস্ত করে সেমি নিশ্চিত করে আফ্রিদিবাহিনী। তাই ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনালে শোয়েবের মাঠে নামা, না নামা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধোঁয়াশার। অনেকেই মনে করছেন, শোয়েবকে ছাড়াই ভারতের মাটিতে মাঠে নামতে পারে পাকিস্তান। তবে সেমিফাইনালে স্বাগতিকদের বিপক্ষে এই গতি জাদুকরকে মাঠে নামানোর পক্ষে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম। তার মতে, ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের মহারণে শোয়েবই গতির জাদু দিয়ে পাকিস্তানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন। এছাড়া পাকিস্তানের বোলিং সাইডকে আরও শক্তিশালী করতে শোয়েব ছাড়া বিকল্প কেউ নেই।
পাকিস্তানি সাবেক এ গ্রেট মনে করেন, ভারতের বিপক্ষে শোয়েবকে খেলানো উচিত। ও নিজের সেরাটা মেলে ধরতে পারবে। তার জায়গায় ওয়াহাব রিয়াজ ভালো বোলিং করছে। কিন্তু ও দলকে সেরাটা উপহার দিতে পারছে না। তবে শোয়েবের একটাই সমস্যা। তা হলো ও দ্বিতীয় স্পেলে গিয়েই লাইনচ্যুত হয়ে যায়। তবে আমি বিশ্বকাপের ওয়ার্মআপ ম্যাচের আগে ওকে কৌশল শিখিয়ে দিয়েছি। আশা করি ওই কৌশলটা ও ভালোই কাজে লাগাতে পারবে।’ শচীনকে নিয়ে পাকিস্তানের ভয়। কারণ, এই লিটল মাস্টার ওয়ানডে ও টেস্ট মিলে সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি করতে আর মাত্র এক ধাপ পিছিয়ে আছেন। কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শচীন সেঞ্চুরি দিকেই এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু ৫৩ রানে শন টেইটের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সাজঘরে ফিরলেও তিনি সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করবেন বলে বিশ্বাস শচীন ভক্তদের। তবে ওয়াসিম আকরাম মনে করছেন, শচীনের কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরিটি করার পথে শক্ত বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবেন কেবল শোয়েব আখতারই। তিনি বলেন, ‘ভারতের বিপক্ষে শোয়েব সবসময় বিপজ্জনক। ওর অতিরিক্ত সাহসী বোলিং পাকিস্তানের ভাগ্য বদলে দিতে পারে। শচীন ও শেবাগের মতো বিশ্বমানের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থ করতে শোয়েবই যোগ্য বোলার। আশা করি ও সেমিফাইনালের মহারণে ভালো খেলবে।’ ওয়েস্টইন্ডিজ বিপক্ষে সাঈদ আজমল ভালো বোলিং করেছিলেন। তবে তার জায়গায় খেলেছেন আবদুর রেহমান। তাই ওয়াসিম আকরাম মনে করেন, পাকিস্তানের বর্তমান একাদশ নিয়ে ভালো ফর্মে থাকলেও মোহালির মতো উইকেটে শোয়েবকে প্রয়োজন। ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকে পাকিস্তান এ পর্যন্ত বিশ্বকাপে ভারতের মুখোমুখি হয়েছে চারবার। চারটি ম্যাচেই পাকিস্তান হেরেছে। আকরামের মতে, আগের ম্যাচগুলোর চেয়ে এ বিশ্বকাপেই সবচেয়ে শক্তিশালী লড়াই হবে দু’দলের মধ্যে। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারত ফেবারিট দল। তবে পাকিস্তান দারুণ খেলছে। লিখিতভাবে বলা যায়, দু’দলেরই অভিজ্ঞতা অনেক। পাকিস্তানের বোলিং সাইড খুবই বিধ্বংসী। বৈচিত্র্যময় বোলিং করতে শহীদ আফ্রিদিদের জুড়ি নেই।’ ভারত সব সময়ই পাকিস্তানের বিপক্ষে চাপ নিয়ে খেলে। তাই বিশ্বকাপের এই সেরা মঞ্চে আরও বাড়তি চাপ নিয়ে জয় পেতেই নামবে ধোনি বাহিনী। তবে পাকিস্তানও জয়ের অঙ্ক কষছে। দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে শহীদ আফ্রিদির দলও চাপ নিয়েই মাঠে নামবে।

ইসলাম রক্ষায় গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে আহকামে শরিআহ হেফাজত কমিটি আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ধর্মনিরপেক্ষতার নামে দেশকে ধর্মহীন রাষ্ট্র বানাতে চায়। তারা কোরআন-সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন না করার ওয়াদা করে ক্ষমতায় এসে একের পর ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। পর্দাবিরোধী প্রজ্ঞাপন, ইসলামী শিক্ষাবিরোধী জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন, ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান চালু, ফতোয়া নিষিদ্ধের উদ্যোগের পর কোরআনবিরোধী নারীনীতি প্রণয়ন করেছে সরকার। সুতরাং দেশে ইসলাম রক্ষা করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীনের সভাপতিত্বে ‘ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষানীতি, ফতোয়া নিয়ে ষড়যন্ত্র ও কোরআনবিরোধী নারীনীতি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে আলোচনা করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা আবদুস সোবহান, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, আইম্মাহ পরিষদের সভাপতি মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী, খেলাফত আন্দোলনের নেতা মাওলানা মজিবুর রহমান হামিদী, এনডিপির চেয়ারম্যান আলমগীর মজুমদার, শরিআহ হেফাজত কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক ড. মুফতি আবু ইউসুফ, মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা আবদুছ ছবুর মাতুব্বর, মাওলানা রুহুল আমীন মাদানী, ড. মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা আবদুল মোমেন নাসেরী, মুফতি মাওলানা আবদুল কাইউম, ড. মাওলানা আবদুস সামাদ, মাওলানা আবু দাউদ যাকারিয়া, মাওলানা আবু হানিফ নেসারী, মো. রফিকুল ইসলাম, মাওলানা ফাহিম সিদ্দিকী প্রমুখ।
বক্তারা আরও বলেন, নামাজ যেভাবে পড়তে হবে, অযু কীভাবে করতে—এসব প্রশ্নের উত্তরে কোরআনের বক্তব্য তুলে ধরাই ফতোয়া। সুতরাং ফতোয়া নিষিদ্ধ করার অর্থ কোরআনের সিদ্ধান্ত নিষিদ্ধ করা। এই সিদ্ধান্ত কোনো মুসলমান মেনে নিতে পারে না। তারা বলেন, প্রস্তাবিত নারীনীতিতে পুরুষ-মহিলা সমান অধিকারের বিধান রাখা হয়েছে। সেক্ষেত্রে আইন পাস হওয়ার পর যদি কোনো মহিলা পৈতৃক সম্পত্তিতে সমান অধিকার দাবি করে আদালতের শরণাপন্ন হয় তবে তার পক্ষে রায় হবে। যা কোরআনের সুস্পষ্ট বিরোধী।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ‘ওলামারা নারীনীতি পড়ে নাই’ বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ওলামা নেতারা বলেন, আপনার এই বক্তব্য আলেমদের সঙ্গে বেয়াদবির শামিল। আসলে প্রধানমন্ত্রী নিজেই নারীনীতি পড়েননি। তারা প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের উদ্দেশে বলেন, যেভাবে ইসলামকে ধ্বংস করার জন্য একাধিক ফ্রন্ট খুলেছেন তাতে আমাদের মনে হয় আপনাদের সঙ্গে এদেশের মুসলামানদের সংঘাত অনিবার্য। সুতরাং খুব তাড়াতাড়ি আপনাদের বোধোদয় হওয়া উচিত এবং সব ষড়যন্ত্র থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। অন্যথায় এ আইন প্রণয়নই আপনাদের ক্ষমতা থেকে পদত্যাগের জন্য যথেষ্ট হবে। জাতি আজ তাদের ঈমান রক্ষার দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমেই কোরআনবিরোধী সব ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া হবে।

সাঈদীর কর ফাঁকির অভিযোগ গঠনের শুনানি ২৫ এপ্রিল


সাঈদীর কর ফাঁকির অভিযোগ গঠনের শুনানি ২৫ এপ্রিল

আদালত প্রতিবেদক | তারিখ: ২৯-০৩-২০১১
নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী

জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে কর ফাঁকির মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি হবে আগামী ২৫ এপ্রিল। আজ মঙ্গলবার এ মামলায় অভিযোগ গঠন-বিষয়ক শুনানির দিন ধার্য ছিল।
সাঈদীর আইনজীবী আজ সময়ের জন্য আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক মোজাম্মেল হোসেন এ তারিখ ধার্য করেন।
আজ সাঈদীকে আদালতে নেওয়া হয়। আসামি পক্ষের আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক আদালতকে বলেন, মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আবেদন করা হলে আদালত চার সপ্তাহের রুল জারি করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতকে বলেন, হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন—এ ধরনের কোনো আদেশ দেননি। আসামি পক্ষের আদালতে দাখিল করা হাইকোর্টের আদেশে এ ধরনের কোনো বিষয় উল্লেখ নেই। রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য প্রস্তুত। আসামিকে সময় দেওয়ার কোনো কারণ নেই।
আসামি পক্ষের আইনজীবীরা পৃথক আরেকটি দরখাস্ত দিয়ে সময় চাইলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৭ আগস্ট কর ফাঁকির অভিযোগে সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

Saturday, 26 March 2011

সাংবাদিক পথচারীসহ শতাধিক আহত : ১৭ কর্মী আটক : শিবিরের স্বাধীনতা শোভাযাত্রায় গুলি টিয়ারশেল লাঠিচার্জ

সাংবাদিক পথচারীসহ শতাধিক আহত : ১৭ কর্মী আটক : শিবিরের স্বাধীনতা শোভাযাত্রায় গুলি টিয়ারশেল লাঠিচার্জ

স্টাফ রিপোর্টার
গতকাল রাজধানীতে ছাত্রশিবিরের স্বাধীনতা দিবসের শোভাযাত্রায় অতর্কিত হামলা চালায় পুলিশ। শিবির কর্মীদের ওপর পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও শটগানের গুলিতে কাকরাইল-শান্তিনগর এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় সাংবাদিক, পথচারীসহ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে ১৭ জনকে আটক করে পুলিশ। ন্যক্কারজনক এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন শিবির নেতারা। স্বাধীনতা দিবসের শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠানে এ ধরনের হামলাকে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি চরম অসম্মান বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. ফখরুদ্দিন মানিক। তিনি অবিলম্বে এ হামলার বিচার ও আটককৃতদের মুক্তি দাবি করেন।
জানা গেছে, মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশব্যাপী ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী গতকাল সকালে রাজধানীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। এ উপলক্ষে সকাল ৯টায় শিবির কর্মীরা কাকরাইল নাইটিঙ্গেল মোড়ে জড়ো হতে থাকলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু শিবিরের কয়েক হাজার নেতাকর্মী এ সময় মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে এবং বড় পতাকা ও ব্যানার নিয়ে শোভাযাত্রা বের করে। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা কাকরাইল হয়ে শান্তিনগর মোড়ে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. ফখরুদ্দিন মানিকের বক্তব্য শেষ হওয়ার মুহূর্তে পেছন দিক থেকে হঠাত্ হামলা শুরু করে পুলিশ।
শিবির কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও শটগানের গুলি নিক্ষেপ এবং বেপরোয়া লাঠিচার্জ করে। এ সময় ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। আতঙ্কিত শিবির কর্মী ও পথচারীরা প্রাণরক্ষায় ছোটাছুটি শুরু করে। অনেকে বিভিন্ন দোকানে আশ্রয় নেয়। কিন্তু পুলিশ সেখানে ঢুকেও তাদের লাঠিপেটা করে। পুলিশের হামলা থেকে রেহাই পাননি সাংবাদিক ও পথচারীরা। এ সময় পুলিশের হামলায় দিগন্ত টিভির এক সাংবাদিকসহ শতাধিক শিবিরকর্মী আহত হয়। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আহত ১৭ শিবির কর্মীকে অমানবিকভাবে আটক করে রমনা থানায় নিয়ে যায়। আটককৃতরা হলো আবু জায়েদ (১৮), রুহুল আমিন (২২), জাভেদ ইকবাল (২৪), শরিফুল ইসলাম (২০), মোহাম্মদ বাপ্পী (১৫), মাশরুল আহমেদ (২১), রবিউল ইসলাম (২১), আশিকুর রহমান (২২), হাফিজুর রহমান (১৮), হেলালউদ্দিন (২২), মমিনুল করিম (১৫), দেলোয়ার হোসেন (২১), সানোয়ার হোসেন তারেক (২১), আলী হোসেন (২৩), মুজাহিদুল ইসলাম (১৭), রকিব (২১) ও রফিকুল ইসলাম (১৮)। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করা হয়েছে। শিবির সন্দেহে এ সময় কয়েকজন হিন্দুকে আটক করা হলেও পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে রমনা থানার ওসি শিবলী নোমান সাংবাদিকদের জানান, সকাল ৯টার দিকে শিবির কর্মীরা জেলে আটক তাদের নেতা নিজামী, মুজাহিদসহ অন্যদের মুক্তির দাবিতে শান্তিনগর এলাকায় মিছিল বের করে। পুলিশ বাধা দিলে তারা গাড়ি ভাংচুর এবং কাজে বাধা দেয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১৭ শিবির কর্মীকে আটক করে পুলিশ। তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বেআইনি মিছিল করা, ভাংচুর, পুলিশের কাজে বাধা এবং আহত করার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। তাদেরকে দ্রুত বিচার আইনে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
শিবিরের নিন্দা ও প্রতিবাদ : স্বাধীনতা দিবসের শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রা পরবর্তী সমাবেশে পুলিশের হামলা ও নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন শিবির নেতারা। এক যৌথ বিবৃতিতে শিবির সভাপতি ডা. মো. ফখরুদ্দিন মানিক ও সেক্রেটারি জেনারেল মো. দেলাওয়ার হোসেন বলেন, মহান স্বাধীনতা জাতির অহঙ্কার। স্বাধীনতা দিবসে দেশের প্রতিনিধিত্বশীল ছাত্র সংগঠন হিসেবেই শিবির বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রা পরবর্তী সমাবেশে কোনো উস্কানি ছাড়াই পুলিশের ন্যক্কারজনক হামলা ও গ্রেফতারে আমরা হতবাক। পুলিশের এ হামলার মধ্য দিয়ে সরকারের পৈশাচিক রাজনৈতিক প্রতিহিংসা প্রকাশ হয়েছে। স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচিতে হামলাকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অসম্মান বলে তারা মন্তব্য করেন। তারা অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের হামলা থেকে বিরত থাকতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। শিবির নেতারা ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে আহত সাংবাদিক ও শিবির নেতাকর্মীদের দেখতে যান।
এদিকে শান্তিনগর মোড়ে শোভাযাত্রা পরবর্তী সমাবেশে শিবির সভাপতি ডা. মো. ফখরুদ্দিন মানিক বলেন, ছাত্রশিবির দেশপ্রেমিক ছাত্র সংগঠন। শিবির প্রতিনিয়ত ছাত্রসমাজকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করছে। স্বনির্ভর দেশ গড়তে স্বাধীনতার চেতনায় ছাত্র-জনতার ঐক্য তৈরিতে কাজ করছে এ সংগঠন। তিনি বলেন, ছাত্রশিবির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় শিবির ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। আওয়ামী সরকারের দেশবিরোধী অপকৌশল রুখতে শিবির প্রাণপণ লড়াই চালিয়ে যাবে।
শোভাযাত্রায় অংশ নেন ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ড. মু. রেজাউল করিম, সেক্রেটারি জেনারেল মো. দেলাওয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা আতাউর রহমান সরকার, আবদুল জব্বার, সোহেল খান, নিজামুল হক নাঈম, আতিকুর রহমান, তারেকুজ্জামান, আবু সালেহ মো. ইয়াহইয়া, মাকসুদুর রহমান, মাসুদ পারভেজ রাসেল, নূরুল ইসলাম আকন্দ, আল মুত্তাকী বিল্লাহ, মাসুদুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগর ও বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের সভাপতিসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী।

wel come nrbux

NRBUX