ভারতের কাছে হারলেও শেষ আটে ও. ইন্ডিজ ভারত : ২৬৮/১০, ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ১৮৮/১০ (৪২)
কবিরুল ইসলাম
গ্রুপের শেষ ম্যাচে ভারতের কাছে হেরেও কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গতকাল এম চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে ৮০ রানে পরাজিত হয় তারা। যুবরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যের কারণেই বিশাল এ জয় পায় ধোনি-শচীনরা। আগে ব্যাট করা ভারতীয়রা যুবরাজের সেঞ্চুরির (১১৩) ওপর ভর করে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ২৬৮ রান জমা করে। যদিও ভারতীয়রা তাদের ইনিংসটা ৩০০ রানের কোটা পার করতে পারতো। কিন্তু পেসার রামপালের কারণে সে আশা পূরণ হয়নি স্বাগতিকদের। মাত্র ২৬৮ রানেই শেষ হয়ে যায় তাদের স্কোর। রামপাল ৫ উইকেট তুলে নেন। জবাবে জহির খানের মারাত্মক বোলিংয়ের কারণে মাত্র ১৮৮ রানেই শেষ হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস। ড্যারেল স্মিথের ৮১ রানের ইনিংসের পরও এ হার বড়ই দুঃখজনক ক্যারিবীয়দের কাছে। এ জয়ের ফলে ভারত ৯ পয়েন্ট তুলে নিয়ে গ্রুপের
শীর্ষে রয়েছে। তারা ২৪ মার্চ আহমেদাবাদে আরেক শিরোপা প্রত্যাশী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে। এ পরাজয়ের ফলে শেষ আটে যেতে কোনো হিসাব-নিকাশ কষতে হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। কারণ, বাংলাদেশকে রান রেটে পেছনে ফেলে আগেই কোয়ার্টার নিশ্চিত হয়েছে তাদের। তারা প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে ঢাকায় পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে।
চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে দিবা-রাত্রির এ ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় দলপতি মহেন্দ্র সিং ধোনি। যুবরাজ সিংয়ের অনবদ্য সেঞ্চুরি (১১৩) এবং বিরাট কোহলির অর্ধশত (৫৯) রানের সুবাদে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ২৬৮ রানের পাহাড় গড়ে তারা। যদিও ইনিংসের সূচনাটা তাদের মোটেও সুখকর ছিল না। দলীয় ৮ রানেই রামপালের গতির সামনে দাঁড়াতে পারেননি লিটল মাস্টার ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকার। শচীনের বিদায়ের ৪৩ রান পর আরেক ওপেনার গৌতম গাম্ভিরও বিদায় নিয়েছিলেন একই বোলারের বলে। দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিছুটা চাপে পড়া ভারতীয় ইনিংসের ভিত্তি গড়ে দেন কোহলি এবং যুবরাজ। এ দুই ব্যাটসম্যানের লড়াকু ইনিংসের কারণেই প্রাথমিক চাপটা সামাল দেয় তারা। তাদের মারমুখী ব্যাটিংয়ের সামনে লাইন হারিয়ে ফেলেন ক্যারিবীয় বোলাররা। দলীয় ইনিংসে ১২২ রান জমা করে ব্যক্তিগত ৫৯ রানে কোহলি সাজঘরে ফেরেন পেসার রামপালের শিকার হয়ে। এরপর মাঠে নামা অধিনায়ক ধোনিকে সঙ্গে নিয়ে দলকে আরও উপরে টেনে তুলতে থাকেন যুবরাজ। এই হার্ডহিটার বিপজ্জনক হয়ে ওঠেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলারদের কাছে। দলীয় ২১৮ রানে ধোনি বিদায় নিলেও যুবরাজকে থামাতে পারেননি সামিবাহিনী। যুবরাজ নিজের বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ১১২ বল খরচায়। তার সেঞ্চুরির ইনিংসে ছিল দশটি চার এবং একটি ছয়ের মার। সেঞ্চুরি পূরণ করার মাত্র ১৩ রান পরেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হয় যুবরাজকে। ১২৩ বলে সাজান নিজের ইনিংসটি। যুবরাজ ও কোহলি ছাড়া ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা আর কেউ নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। পেসার রামপাল ছিলেন ভারতীয় বোলারদের সামনে বল হাতে একমাত্র সফল। রামপাল একাই উপড়ে ফেলেন ভারতীয় পাঁচ ব্যাটসম্যানের উইকেট। ফলে সব উইকেট হারিয়ে তারা সংগ্রহ করে ২৬৮ রান। এছাড়া এন্ড্রু রাসেল নিয়েছেন ২ উইকেট।
জয়ের জন্য ক্যারিবীয়দের প্রয়োজন ছিল ২৬৯ রান। এ রানটি তাদের কাছে কোনো কষ্টকর ছিল না। কিন্তু কাল চিদাম্বারাম স্টেডিয়াম যেন পেসারদের স্বর্গরাজ্য হয়ে ওঠে। এতদিন যে উইকেট ছিল স্পিনারদের দখলে, কাল সেটা চলে যায় পেসারদের হাতে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভারতীয় পেসার জহির খান আঘাত হানেন প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইনে। তার গতির সামনে এলোমেলো হয়ে যায় স্মিথ, সারওয়ানদের ব্যাটিং অর্ডার। যদিও তাদের ইনিংসের গোড়াপত্তনটা ছিল দারুণ। ইডওয়ার্ডের উইকেট দলীয় ৩৪ রানে হারালেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান স্মিথ এবং ব্রাভো। তাদের ঝড়ো ইনিংসের সামনে ভারতীয় বোলাররা প্রথমে কিছুটা চাপে ছিলেন। কিন্তু ৫৭ রানে ব্রাভোর বিদায়ের পরও উজ্জ্বল ছিল ক্যারিবীয়দের ইনিংস। রানের বন্যায় ভারতীয় বোলিং লাইনকে ভাসিয়ে দিচ্ছিলেন স্মিথ এবং সারওয়ান। তবে বিপদটা শুরু হয় ওপেনার ড্যারেল স্মিথের বিদায়ের পরপরই। ব্যক্তিগত ৮১ রানে তাকে জহির খান সাজঘরে ফিরিয়ে দিয়ে দলকে আনন্দে ভাসিয়ে তোলেন। আর এ উইকেটটাই মূলত ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। স্মিথ ৯৭ বলে ৭ চার এবং একটি ছয় দিয়ে নিজের ইনিংস সাজান। এরপর শুরু হয় ভারতীয় পেসারদের দাপট। জহির খান-অশ্বিনদের সামনে দাঁড়াতেই পারছিলেন না এন্ড্রু রাসেল-বিষুরা। মাত্র ১৮৮ রানেই গুটিয়ে যায় ক্যারিবীয়দের ইনিংস। নিচের সারির ৭ ব্যাটসম্যান মিলে করেছেন ১৫ রান। মিডল অর্ডারের এ ব্যর্থতার কারণে ৮০ রানে পরাজয়ের লজ্জা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। জহির খান ৩টি এবং অশ্বিন নেন ২ উইকেট। বিশ্বকাপে এটাই অভিষেক ম্যাচ অশ্বিনের। ইডওয়ার্ড এবং রামপালকে সাজঘরে পাঠান তামিল নাড়ুর এ বোলার।
শীর্ষে রয়েছে। তারা ২৪ মার্চ আহমেদাবাদে আরেক শিরোপা প্রত্যাশী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে। এ পরাজয়ের ফলে শেষ আটে যেতে কোনো হিসাব-নিকাশ কষতে হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। কারণ, বাংলাদেশকে রান রেটে পেছনে ফেলে আগেই কোয়ার্টার নিশ্চিত হয়েছে তাদের। তারা প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে ঢাকায় পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে।
চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে দিবা-রাত্রির এ ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় দলপতি মহেন্দ্র সিং ধোনি। যুবরাজ সিংয়ের অনবদ্য সেঞ্চুরি (১১৩) এবং বিরাট কোহলির অর্ধশত (৫৯) রানের সুবাদে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ২৬৮ রানের পাহাড় গড়ে তারা। যদিও ইনিংসের সূচনাটা তাদের মোটেও সুখকর ছিল না। দলীয় ৮ রানেই রামপালের গতির সামনে দাঁড়াতে পারেননি লিটল মাস্টার ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকার। শচীনের বিদায়ের ৪৩ রান পর আরেক ওপেনার গৌতম গাম্ভিরও বিদায় নিয়েছিলেন একই বোলারের বলে। দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিছুটা চাপে পড়া ভারতীয় ইনিংসের ভিত্তি গড়ে দেন কোহলি এবং যুবরাজ। এ দুই ব্যাটসম্যানের লড়াকু ইনিংসের কারণেই প্রাথমিক চাপটা সামাল দেয় তারা। তাদের মারমুখী ব্যাটিংয়ের সামনে লাইন হারিয়ে ফেলেন ক্যারিবীয় বোলাররা। দলীয় ইনিংসে ১২২ রান জমা করে ব্যক্তিগত ৫৯ রানে কোহলি সাজঘরে ফেরেন পেসার রামপালের শিকার হয়ে। এরপর মাঠে নামা অধিনায়ক ধোনিকে সঙ্গে নিয়ে দলকে আরও উপরে টেনে তুলতে থাকেন যুবরাজ। এই হার্ডহিটার বিপজ্জনক হয়ে ওঠেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলারদের কাছে। দলীয় ২১৮ রানে ধোনি বিদায় নিলেও যুবরাজকে থামাতে পারেননি সামিবাহিনী। যুবরাজ নিজের বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ১১২ বল খরচায়। তার সেঞ্চুরির ইনিংসে ছিল দশটি চার এবং একটি ছয়ের মার। সেঞ্চুরি পূরণ করার মাত্র ১৩ রান পরেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হয় যুবরাজকে। ১২৩ বলে সাজান নিজের ইনিংসটি। যুবরাজ ও কোহলি ছাড়া ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা আর কেউ নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। পেসার রামপাল ছিলেন ভারতীয় বোলারদের সামনে বল হাতে একমাত্র সফল। রামপাল একাই উপড়ে ফেলেন ভারতীয় পাঁচ ব্যাটসম্যানের উইকেট। ফলে সব উইকেট হারিয়ে তারা সংগ্রহ করে ২৬৮ রান। এছাড়া এন্ড্রু রাসেল নিয়েছেন ২ উইকেট।
জয়ের জন্য ক্যারিবীয়দের প্রয়োজন ছিল ২৬৯ রান। এ রানটি তাদের কাছে কোনো কষ্টকর ছিল না। কিন্তু কাল চিদাম্বারাম স্টেডিয়াম যেন পেসারদের স্বর্গরাজ্য হয়ে ওঠে। এতদিন যে উইকেট ছিল স্পিনারদের দখলে, কাল সেটা চলে যায় পেসারদের হাতে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভারতীয় পেসার জহির খান আঘাত হানেন প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইনে। তার গতির সামনে এলোমেলো হয়ে যায় স্মিথ, সারওয়ানদের ব্যাটিং অর্ডার। যদিও তাদের ইনিংসের গোড়াপত্তনটা ছিল দারুণ। ইডওয়ার্ডের উইকেট দলীয় ৩৪ রানে হারালেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান স্মিথ এবং ব্রাভো। তাদের ঝড়ো ইনিংসের সামনে ভারতীয় বোলাররা প্রথমে কিছুটা চাপে ছিলেন। কিন্তু ৫৭ রানে ব্রাভোর বিদায়ের পরও উজ্জ্বল ছিল ক্যারিবীয়দের ইনিংস। রানের বন্যায় ভারতীয় বোলিং লাইনকে ভাসিয়ে দিচ্ছিলেন স্মিথ এবং সারওয়ান। তবে বিপদটা শুরু হয় ওপেনার ড্যারেল স্মিথের বিদায়ের পরপরই। ব্যক্তিগত ৮১ রানে তাকে জহির খান সাজঘরে ফিরিয়ে দিয়ে দলকে আনন্দে ভাসিয়ে তোলেন। আর এ উইকেটটাই মূলত ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। স্মিথ ৯৭ বলে ৭ চার এবং একটি ছয় দিয়ে নিজের ইনিংস সাজান। এরপর শুরু হয় ভারতীয় পেসারদের দাপট। জহির খান-অশ্বিনদের সামনে দাঁড়াতেই পারছিলেন না এন্ড্রু রাসেল-বিষুরা। মাত্র ১৮৮ রানেই গুটিয়ে যায় ক্যারিবীয়দের ইনিংস। নিচের সারির ৭ ব্যাটসম্যান মিলে করেছেন ১৫ রান। মিডল অর্ডারের এ ব্যর্থতার কারণে ৮০ রানে পরাজয়ের লজ্জা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। জহির খান ৩টি এবং অশ্বিন নেন ২ উইকেট। বিশ্বকাপে এটাই অভিষেক ম্যাচ অশ্বিনের। ইডওয়ার্ড এবং রামপালকে সাজঘরে পাঠান তামিল নাড়ুর এ বোলার।
No comments:
Post a Comment