সর্বহারাদের প্রত্যাবর্তনে অশান্ত হয়ে উঠছে বরিশাল
বরিশাল অফিস
আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্রমশ অশান্ত হয়ে ওঠেছে সর্বহারা অধ্যুষিত বরিশালের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল। বিভিন্ন এলাকায় সরকারি দল সমর্থিত প্রার্থীরা বিরোধী দলীয় প্রার্থীকে নির্বাচনী কাজে বাধাসহ নানান ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের খবর পাওয়া গেছে। এ কাজে আত্মগোপনে থাকা সর্বহারা সন্ত্রাসীরা আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। কোনো কোনো এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণার নামে সমর্থক নন এমন নারীদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাও ঘটেছে। ফলে আসন্ন নির্বাচনে সুষ্ঠু ভোট প্রদান নিয়ে শঙ্কিত অনেকেই।
সূত্র মতে, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পরই বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে থাকা সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত সর্বহারা সদস্যরা স্ব-স্ব এলাকায় ফিরে এসে অপতত্পরতা শুরু করে। প্রথমদিকে এরা দিনের বেলায় প্রকাশ্যে না এলেও রাতের আঁধারে গোপন বৈঠক করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সম্প্রতি প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দের পর পরই সর্বহারা সদস্যরা বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে প্রকাশ্যে মহড়া দিচ্ছে। বিশেষ করে বাবুগঞ্জের আগরপুর, গৌরনদীর
সরিকল এবং উজিরপুরের নারায়ণপুর, গুঠিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় সর্বহারা সদস্যের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে আশঙ্কাজনকভাবে।
সূত্র জানায়, আসন্ন ইউপি নির্বাচনে বাবুগঞ্জের আগরপুর ইউনিয়নে সাবেক দুই সর্বহারা নেতা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর পরই এ দুই নেতার আত্মগোপনে থাকা অনুসারীরা এলাকায় ফিরে আসতে শুরু করে। একই ইউনিয়নে দু’সর্বহারা নেতা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার নিয়ে যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কাও করছেন অনেকেই। বাবুগঞ্জের মতো গৌরনদীর সরিকল ও উজিরপুরের নারায়ণপুর এবং গুঠিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় সর্বহারা সদস্যদের আনাগোনা অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে বিভিন্ন ইউনিয়নে সরকার দলীয় প্রার্থীরা বিরোধী দলীয় প্রার্থীদের নির্বাচনী কাজে বাধা ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বিভাগীয় উপ-নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়ে অভিযোগও দাখিল হয়েছে। অনেকে স্ব-স্ব থানায় সাধারণ ডায়রিও করেছেন। সূত্র জানায়, ১৮ মার্চ উজিরপুরের সাতলা ইউনিয়নের নয়াকান্দি এলাকায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ইউনুস হাওলাদারের নির্বাচনী প্রচারণা কাজে বাধা দিয়েছে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহাগ মোল্লা ও তার সমর্থকরা। এ সময় তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা ধরনের হুমকি দেয়া হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এ ব্যাপারে ইউনিয়ন বিএনপি সম্পাদক মো. মেজবাহ উদ্দিন আমার দেশ’কে বলেন, র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত সাবেক সর্বহারা নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাফর মোল্লার বাহিনী তাদের নানাভাবে হুমকিসহ নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন। এ কারণে এলাকার ভোটাররা অনেকটা শঙ্কিত। এছাড়া একই ইউনিয়নের পটিবাড়ী গ্রামে নির্বাচনী প্রচারণা করতে এসে এক গৃহবধূকে নির্যাতন করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উজিরপুর থানায় মামলাও হয়েছে বলে উজিরপুর থানার সেকেন্ড অফিসার মো. শামিম শেখ জানিয়েছেন।
এদিকে আগৈলঝাড়ায় নির্বাচনী কাজে বাধা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী ইলিয়াস তালুকদারের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছেন অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুর রশিদ সিকদার। এ ব্যাপারে বরিশাল বিভাগীয় উপ-নির্বাচন কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম জানান, নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা ও ভয়ভীতি প্রদানসহ নানান বিষয়ে কমিশনে একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সূত্র মতে, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পরই বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে থাকা সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত সর্বহারা সদস্যরা স্ব-স্ব এলাকায় ফিরে এসে অপতত্পরতা শুরু করে। প্রথমদিকে এরা দিনের বেলায় প্রকাশ্যে না এলেও রাতের আঁধারে গোপন বৈঠক করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সম্প্রতি প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দের পর পরই সর্বহারা সদস্যরা বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে প্রকাশ্যে মহড়া দিচ্ছে। বিশেষ করে বাবুগঞ্জের আগরপুর, গৌরনদীর
সরিকল এবং উজিরপুরের নারায়ণপুর, গুঠিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় সর্বহারা সদস্যের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে আশঙ্কাজনকভাবে।
সূত্র জানায়, আসন্ন ইউপি নির্বাচনে বাবুগঞ্জের আগরপুর ইউনিয়নে সাবেক দুই সর্বহারা নেতা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর পরই এ দুই নেতার আত্মগোপনে থাকা অনুসারীরা এলাকায় ফিরে আসতে শুরু করে। একই ইউনিয়নে দু’সর্বহারা নেতা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার নিয়ে যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কাও করছেন অনেকেই। বাবুগঞ্জের মতো গৌরনদীর সরিকল ও উজিরপুরের নারায়ণপুর এবং গুঠিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় সর্বহারা সদস্যদের আনাগোনা অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে বিভিন্ন ইউনিয়নে সরকার দলীয় প্রার্থীরা বিরোধী দলীয় প্রার্থীদের নির্বাচনী কাজে বাধা ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বিভাগীয় উপ-নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়ে অভিযোগও দাখিল হয়েছে। অনেকে স্ব-স্ব থানায় সাধারণ ডায়রিও করেছেন। সূত্র জানায়, ১৮ মার্চ উজিরপুরের সাতলা ইউনিয়নের নয়াকান্দি এলাকায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ইউনুস হাওলাদারের নির্বাচনী প্রচারণা কাজে বাধা দিয়েছে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহাগ মোল্লা ও তার সমর্থকরা। এ সময় তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা ধরনের হুমকি দেয়া হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এ ব্যাপারে ইউনিয়ন বিএনপি সম্পাদক মো. মেজবাহ উদ্দিন আমার দেশ’কে বলেন, র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত সাবেক সর্বহারা নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাফর মোল্লার বাহিনী তাদের নানাভাবে হুমকিসহ নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন। এ কারণে এলাকার ভোটাররা অনেকটা শঙ্কিত। এছাড়া একই ইউনিয়নের পটিবাড়ী গ্রামে নির্বাচনী প্রচারণা করতে এসে এক গৃহবধূকে নির্যাতন করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উজিরপুর থানায় মামলাও হয়েছে বলে উজিরপুর থানার সেকেন্ড অফিসার মো. শামিম শেখ জানিয়েছেন।
এদিকে আগৈলঝাড়ায় নির্বাচনী কাজে বাধা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী ইলিয়াস তালুকদারের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছেন অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুর রশিদ সিকদার। এ ব্যাপারে বরিশাল বিভাগীয় উপ-নির্বাচন কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম জানান, নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা ও ভয়ভীতি প্রদানসহ নানান বিষয়ে কমিশনে একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
No comments:
Post a Comment