প্রধান বিচারপতির কাছে ইসলামী শাসনতন্ত্রের স্মারকলিপি : দেশ অবরোধ করে ইসলামবিরোধী সরকারের পতন ঘটানো হবে
স্টাফ রিপোর্টার
ফতোয়া নিষিদ্ধ করে হাইকোর্টের দেয়া রায়কে পবিত্র কোরআন ও হাদিসপরিপন্থী উল্লেখ করে তা বাতিলের দাবিতে প্রধান বিচারপতির কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন। স্মারকলিপি দেয়ার আগে মুক্তাঙ্গনে আয়োজিত এক বিশাল সমাবেশে দলের নেতারা নারীনীতি ও শিক্ষানীতি প্রণয়নসহ সরকারের বিভিন্ন ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, বর্তমান সরকার ইসলামবিরোধী সরকার। ধর্মনিরপেক্ষতার নামে তারা দেশকে ধর্মহীন করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ইসলামবিরোধী আইন বাতিল করা না হলে সারাদেশ অবরোধ করে এ সরকারের পতন ঘটানো হবে বলে ঘোষণা দেন তারা। নেতারা বলেন, কোরআন-হাদিসবিরোধী রায় দেয়ার এখতিয়ার পৃথিবীর কোনো আদালতের নেই। নির্বাচনী অঙ্গীকার ভুলে সরকার এখন কোরআন-হাদিসের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
গতকাল মুক্তাঙ্গনে সমাবেশ শেষে প্রধান বিচারপতিকে স্মারকলিপি দিতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মী প্রেস ক্লাবের সামনে পৌঁছার আগেই পুলিশ কাঁটাতারের ব্যারিকেড দিয়ে থামিয়ে দেয়। সেখান থেকে দলের মহাসচিবের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল সুপ্রিমকোর্টে স্মারকলিপি দিয়ে ফিরে আসা পর্যন্ত নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। এ সময় প্রায় এক ঘণ্টা তারা জিকির করেন এবং সরকারের ইসলামবিরোধী বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে স্লোগান দেন। রাস্তা অবরোধ করে রাখায় এ সময় সচিবালয়ের আশপাশের সড়কগুলোতে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।
মুক্তাঙ্গনের সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, একমাত্র ইসলামী আইন অনুসরণের মাধ্যমেই দুনিয়ায় মানুষ সুখ-শান্তিতে থাকতে পারে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে ইসলামবিরোধী কোনো আইন করবে না বলে অঙ্গীকার করেছিল। অথচ এখন তারা কোরআন-হাদিসপরিপন্থী আইন করে মুসলমানদের ঈমান-আকিদা নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। সরকার আদালতকে ব্যবহার করে মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিচ্ছে। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি বা যেই ইসলামী আইন ধ্বংস করবে তার পরিণতি হবে নমরুদ-ফেরাউনের মতো। তারা দুনিয়ায় টিকে থাকতে পারবে না।
ফয়জুল করিম বলেন, মুমিনরা আলাহর হুকুম মানবে, আরেক দল মানবে না এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কোনো মুসলমান কোরআন-সুন্নাহর বিরুদ্ধে আইন করলে তা আমরা মানতে পারি না। তিনি বলেন, সরকার ইভটিজিং বন্ধের কথা বলে। পবিত্র কোরআনেই ইভটিজিং না করার বিধান আছে। পর্দার বিধান মানলেই ইভটিজিং বন্ধ হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশে পর্দানশীন ও বেপর্দা নারীদের মধ্যে কারা ইভটিজিং ও ধর্ষণের শিকার হয় তা জরিপ করলেই বেরিয়ে আসবে। ইসলামী আইনের মাধ্যমেই মাদক, দুর্নীতিসহ সব অনাচার বন্ধ হয়ে মানুষ শান্তিতে থাকতে পারে। ফতোয়া তুলে দিলে পারিবারিক বন্ধন উঠে যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। বর্তমান সরকার ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত না হলে দেশ অবরোধ করে তাদের বিতাড়িত করা হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কেউ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। এ সরকারও পারবে না।
দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, দেশে একের পর এক ইসলামবিরোধী আইন হওয়া সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী চুপ কেন? তিনি কি কোনো চাপের মধ্যে আছেন নাকি মুসলমানদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে চান তা জানাতে হবে। দেশ অচল না করা পর্যন্ত কি প্রধানমন্ত্রী সোজা পথে চলবেন না সেটাও পরিষ্কার করতে হবে। শরিয়তবিরোধী কিছু না করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। মহানগর সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন বলেন, দেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং খুন-জখমের যে তাণ্ডব চলছে তাতে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ইসলাম, মুসলমান, স্বাধীনতা ও মানবতার দুশমন। তাদেরকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করার শপথ নিতে হবে। এ সরকারের হাতে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব কোনোটাই নিরাপদ নয়। ফেলানীর মতো বাংলাদেশের নাগরিকদের বিনা কারণে সীমান্তে হত্যা করে ভারত কাঁটাতারে লটকিয়ে রাখছে, অথচ সরকার প্রতিবাদও করছে না। উল্টো ভারতকে বিনা পয়সায় ট্রানজিট দিয়ে বাংলাদেশকে পরাধীন করার ষড়ষড়ন্ত্র করছে। অধ্যাপক বেলায়েত হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে দেশকে ধর্মহীন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এ সরকারের হাতে দেশের মানুষের জান-মাল ও ধর্মীয় মূল্যবোধ নিরাপদ নয়।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, অ্যাডভোকেট শাহনেওয়াজ, অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন খান, আহমদ আবদুল কাইয়ুম, মাওলানা আবু সাঈদ সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট এরফান খান প্রমুখ। সমাবেশ থেকে একই দাবিতে ২৪ মার্চ মুক্তাঙ্গনে সমাবেশ, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা এবং ফতোয়া বিষয়ক রায় ঘোষণার দিন হাইকোর্টের সামনে গণঅবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
এদিকে প্রধান বিচারপতিকে দেয়া স্মারকলিপিতে ৫ দফায় বলা হয়েছে—আলাহর আইনের বিরুদ্ধে রায় দেয়ার এখতিয়ার কারও নেই। তাই হাইকোর্ট প্রদত্ত ফতোয়াবিরোধী রায় অবিলম্বে বাতিল করতে হবে, ইসলামী বিধিবিধান বা শরিয়ার বিরুদ্ধে আদালতের মাধ্যমে কোনো প্রকার স্বপ্রণোদিত রুল জারি করা থেকে বিরত থাকতে হবে। সম্প্রতি হিজাবের বিরুদ্ধে আদালত প্রদত্ত রুল বাতিল করতে হবে, প্রচলিত মুসলিম পারিবারিক আইনকে সম্পূর্ণ ইসলামী শরিয়া মোতাবেক ঢেলে সাজাতে হবে, আল্লাহ, রাসুল ও ইসলামের বিধানের বিরুদ্ধে কোনো আইন পাস করা থেকে আদালতকে এবং দেশের যে কোনো সংস্থাকে এ জাতীয় কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে হবে, বিদ্যমান ইসলাম ও শরিয়াবিরোধী সব আইন পর্যায়ক্রমে বাতিলের উদ্যোগ নিতে হবে এবং দেশের সব ধর্মের মানুষের ধর্মীয় অধিকার সুরক্ষা এবং ধর্মীয় বিষয়াদির সমাধানকল্পে আদালতে পৃথক ধর্মীয় বেঞ্চ গঠন করতে হবে।
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাত্ শেষে মাওলানা ইউনুস সাংবাদিকদের বলেন, প্রধান বিচারপতির কাছে আমরা স্মারকলিপি পেশ করেছি। তিনি স্মারকলিপি গ্রহণ করেছেন এবং কোরআন-হাদিসবিরোধী কোনো রায় না দেয়ার বিষয়ে আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি আমাদের আরও বলেছেন, আদালত এমন কোনো আদেশ দেবেন না, যা মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এবং দেশের মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
প্রসঙ্গত, প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বে গঠিত আপিল বিভাগের ফুল বেঞ্চে ফতোয়া নিষিদ্ধ করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিলের শুনানি হচ্ছে। আজও শুনানি হবে।
সম্মিলিত পেশাজীবী ফোরাম : সাবেক সচিব, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, লেখক ও গবেষক শাহ আবদুল হান্নান বলেছেন, কোরআনের বিধান অপরিবর্তনীয়। আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন কোরআন শরিফে নারীদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করেছেন। তাই নারী অধিকার বাস্তবায়নের জন্য নতুন করে নীতিমালা প্রণয়নের প্রয়োজন নেই। যারা এ ধরনের দুঃসাহস দেখাচ্ছে তাদেরকে ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হতে হবে। তিনি সরকারকে এ ধরনের হটকারী তত্পরতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সম্মিলিত পেশাজীবী ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত ‘নারী উন্নয়ন নীতিমালা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহ আবদুল হান্নান এসব কথা বলেন। ফোরামের সহ-সভাপতি ডা. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন সুপ্রিমকোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ইউএবি রাজিয়া আক্তার বানু, বিশিষ্ট আইনজীবী ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট ফেরদৌস আক্তার ওয়াহিদা, সাবেক সচিব এএফএম সোলায়মান চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার শেখ আল-আমিন, ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা ও ড. আবদুস সামাদ। মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন কৃষিবিদ গোলাম রাব্বানী।
সম্মিলিত ওলামা পরিষদ : নারীনীতি বাতিল, ফতোয়া নিষিদ্ধের চক্রান্ত বন্ধ, ধর্মহীন শিক্ষানীতি সংশোধন এবং ইফা ডিজির অপসারণ দাবিতে ১৪ মে রাজধানীতে সম্মিলিত ওলামা মাশায়েখ পরিষদ ঘোষিত মহাসমাবেশ সফল করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া ২৫ মার্চ সব বিভাগীয় ও বড় জেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও ১ এপ্রিল সব থানায় বিক্ষোভ সমাবেশ করারও আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। গতকাল সংগঠনের সভাপতি মাওলানা মুহিউদ্দিন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় নেতারা বলেন, ওলামা পরিষদের ওইসব দাবি বর্তমানে গণদাবিতে পরিণত হয়েছে।
ছাত্র মজলিস : নারীনীতির কোরআনবিরোধী ধারা বাতিলের দাবিতে এবং ফতোয়া নিষিদ্ধে হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ২৪ ও ২৫ মার্চ দেশব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল। গতকাল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক বিশেষ সভায় সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ শায়খুল ইসলাম এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
যুব মোর্চা : ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটি কর্তৃক আহূত ৪ এপ্রিল দেশব্যাপী ইসলাম ও কোরআন রক্ষার হরতালের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন ইসলামী যুুব মোর্চা বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতারা। গতকাল বিকালে যুব মোর্চার লালবাগস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নির্বাহী কমিটির এক জরুরি সভায় এ সমর্থনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
খেলাফত মজলিস : একই দাবিতে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ২৪ মার্চ দেশব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এর অংশ হিসেবে রাজধানীর মুক্তাঙ্গনে মানববন্ধন করা হবে।
গতকাল মুক্তাঙ্গনে সমাবেশ শেষে প্রধান বিচারপতিকে স্মারকলিপি দিতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মী প্রেস ক্লাবের সামনে পৌঁছার আগেই পুলিশ কাঁটাতারের ব্যারিকেড দিয়ে থামিয়ে দেয়। সেখান থেকে দলের মহাসচিবের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল সুপ্রিমকোর্টে স্মারকলিপি দিয়ে ফিরে আসা পর্যন্ত নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। এ সময় প্রায় এক ঘণ্টা তারা জিকির করেন এবং সরকারের ইসলামবিরোধী বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে স্লোগান দেন। রাস্তা অবরোধ করে রাখায় এ সময় সচিবালয়ের আশপাশের সড়কগুলোতে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।
মুক্তাঙ্গনের সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, একমাত্র ইসলামী আইন অনুসরণের মাধ্যমেই দুনিয়ায় মানুষ সুখ-শান্তিতে থাকতে পারে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে ইসলামবিরোধী কোনো আইন করবে না বলে অঙ্গীকার করেছিল। অথচ এখন তারা কোরআন-হাদিসপরিপন্থী আইন করে মুসলমানদের ঈমান-আকিদা নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। সরকার আদালতকে ব্যবহার করে মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিচ্ছে। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি বা যেই ইসলামী আইন ধ্বংস করবে তার পরিণতি হবে নমরুদ-ফেরাউনের মতো। তারা দুনিয়ায় টিকে থাকতে পারবে না।
ফয়জুল করিম বলেন, মুমিনরা আলাহর হুকুম মানবে, আরেক দল মানবে না এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কোনো মুসলমান কোরআন-সুন্নাহর বিরুদ্ধে আইন করলে তা আমরা মানতে পারি না। তিনি বলেন, সরকার ইভটিজিং বন্ধের কথা বলে। পবিত্র কোরআনেই ইভটিজিং না করার বিধান আছে। পর্দার বিধান মানলেই ইভটিজিং বন্ধ হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশে পর্দানশীন ও বেপর্দা নারীদের মধ্যে কারা ইভটিজিং ও ধর্ষণের শিকার হয় তা জরিপ করলেই বেরিয়ে আসবে। ইসলামী আইনের মাধ্যমেই মাদক, দুর্নীতিসহ সব অনাচার বন্ধ হয়ে মানুষ শান্তিতে থাকতে পারে। ফতোয়া তুলে দিলে পারিবারিক বন্ধন উঠে যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। বর্তমান সরকার ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত না হলে দেশ অবরোধ করে তাদের বিতাড়িত করা হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কেউ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। এ সরকারও পারবে না।
দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, দেশে একের পর এক ইসলামবিরোধী আইন হওয়া সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী চুপ কেন? তিনি কি কোনো চাপের মধ্যে আছেন নাকি মুসলমানদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে চান তা জানাতে হবে। দেশ অচল না করা পর্যন্ত কি প্রধানমন্ত্রী সোজা পথে চলবেন না সেটাও পরিষ্কার করতে হবে। শরিয়তবিরোধী কিছু না করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। মহানগর সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন বলেন, দেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং খুন-জখমের যে তাণ্ডব চলছে তাতে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ইসলাম, মুসলমান, স্বাধীনতা ও মানবতার দুশমন। তাদেরকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করার শপথ নিতে হবে। এ সরকারের হাতে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব কোনোটাই নিরাপদ নয়। ফেলানীর মতো বাংলাদেশের নাগরিকদের বিনা কারণে সীমান্তে হত্যা করে ভারত কাঁটাতারে লটকিয়ে রাখছে, অথচ সরকার প্রতিবাদও করছে না। উল্টো ভারতকে বিনা পয়সায় ট্রানজিট দিয়ে বাংলাদেশকে পরাধীন করার ষড়ষড়ন্ত্র করছে। অধ্যাপক বেলায়েত হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে দেশকে ধর্মহীন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এ সরকারের হাতে দেশের মানুষের জান-মাল ও ধর্মীয় মূল্যবোধ নিরাপদ নয়।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, অ্যাডভোকেট শাহনেওয়াজ, অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন খান, আহমদ আবদুল কাইয়ুম, মাওলানা আবু সাঈদ সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট এরফান খান প্রমুখ। সমাবেশ থেকে একই দাবিতে ২৪ মার্চ মুক্তাঙ্গনে সমাবেশ, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা এবং ফতোয়া বিষয়ক রায় ঘোষণার দিন হাইকোর্টের সামনে গণঅবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
এদিকে প্রধান বিচারপতিকে দেয়া স্মারকলিপিতে ৫ দফায় বলা হয়েছে—আলাহর আইনের বিরুদ্ধে রায় দেয়ার এখতিয়ার কারও নেই। তাই হাইকোর্ট প্রদত্ত ফতোয়াবিরোধী রায় অবিলম্বে বাতিল করতে হবে, ইসলামী বিধিবিধান বা শরিয়ার বিরুদ্ধে আদালতের মাধ্যমে কোনো প্রকার স্বপ্রণোদিত রুল জারি করা থেকে বিরত থাকতে হবে। সম্প্রতি হিজাবের বিরুদ্ধে আদালত প্রদত্ত রুল বাতিল করতে হবে, প্রচলিত মুসলিম পারিবারিক আইনকে সম্পূর্ণ ইসলামী শরিয়া মোতাবেক ঢেলে সাজাতে হবে, আল্লাহ, রাসুল ও ইসলামের বিধানের বিরুদ্ধে কোনো আইন পাস করা থেকে আদালতকে এবং দেশের যে কোনো সংস্থাকে এ জাতীয় কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে হবে, বিদ্যমান ইসলাম ও শরিয়াবিরোধী সব আইন পর্যায়ক্রমে বাতিলের উদ্যোগ নিতে হবে এবং দেশের সব ধর্মের মানুষের ধর্মীয় অধিকার সুরক্ষা এবং ধর্মীয় বিষয়াদির সমাধানকল্পে আদালতে পৃথক ধর্মীয় বেঞ্চ গঠন করতে হবে।
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাত্ শেষে মাওলানা ইউনুস সাংবাদিকদের বলেন, প্রধান বিচারপতির কাছে আমরা স্মারকলিপি পেশ করেছি। তিনি স্মারকলিপি গ্রহণ করেছেন এবং কোরআন-হাদিসবিরোধী কোনো রায় না দেয়ার বিষয়ে আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি আমাদের আরও বলেছেন, আদালত এমন কোনো আদেশ দেবেন না, যা মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এবং দেশের মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
প্রসঙ্গত, প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বে গঠিত আপিল বিভাগের ফুল বেঞ্চে ফতোয়া নিষিদ্ধ করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিলের শুনানি হচ্ছে। আজও শুনানি হবে।
সম্মিলিত পেশাজীবী ফোরাম : সাবেক সচিব, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, লেখক ও গবেষক শাহ আবদুল হান্নান বলেছেন, কোরআনের বিধান অপরিবর্তনীয়। আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন কোরআন শরিফে নারীদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করেছেন। তাই নারী অধিকার বাস্তবায়নের জন্য নতুন করে নীতিমালা প্রণয়নের প্রয়োজন নেই। যারা এ ধরনের দুঃসাহস দেখাচ্ছে তাদেরকে ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হতে হবে। তিনি সরকারকে এ ধরনের হটকারী তত্পরতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সম্মিলিত পেশাজীবী ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত ‘নারী উন্নয়ন নীতিমালা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহ আবদুল হান্নান এসব কথা বলেন। ফোরামের সহ-সভাপতি ডা. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন সুপ্রিমকোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ইউএবি রাজিয়া আক্তার বানু, বিশিষ্ট আইনজীবী ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট ফেরদৌস আক্তার ওয়াহিদা, সাবেক সচিব এএফএম সোলায়মান চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার শেখ আল-আমিন, ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা ও ড. আবদুস সামাদ। মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন কৃষিবিদ গোলাম রাব্বানী।
সম্মিলিত ওলামা পরিষদ : নারীনীতি বাতিল, ফতোয়া নিষিদ্ধের চক্রান্ত বন্ধ, ধর্মহীন শিক্ষানীতি সংশোধন এবং ইফা ডিজির অপসারণ দাবিতে ১৪ মে রাজধানীতে সম্মিলিত ওলামা মাশায়েখ পরিষদ ঘোষিত মহাসমাবেশ সফল করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া ২৫ মার্চ সব বিভাগীয় ও বড় জেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও ১ এপ্রিল সব থানায় বিক্ষোভ সমাবেশ করারও আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। গতকাল সংগঠনের সভাপতি মাওলানা মুহিউদ্দিন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় নেতারা বলেন, ওলামা পরিষদের ওইসব দাবি বর্তমানে গণদাবিতে পরিণত হয়েছে।
ছাত্র মজলিস : নারীনীতির কোরআনবিরোধী ধারা বাতিলের দাবিতে এবং ফতোয়া নিষিদ্ধে হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ২৪ ও ২৫ মার্চ দেশব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল। গতকাল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক বিশেষ সভায় সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ শায়খুল ইসলাম এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
যুব মোর্চা : ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটি কর্তৃক আহূত ৪ এপ্রিল দেশব্যাপী ইসলাম ও কোরআন রক্ষার হরতালের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন ইসলামী যুুব মোর্চা বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতারা। গতকাল বিকালে যুব মোর্চার লালবাগস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নির্বাহী কমিটির এক জরুরি সভায় এ সমর্থনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
খেলাফত মজলিস : একই দাবিতে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ২৪ মার্চ দেশব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এর অংশ হিসেবে রাজধানীর মুক্তাঙ্গনে মানববন্ধন করা হবে।
2.
নড়াইলে নিজ দলের সন্ত্রাসীদের হাতে ছাত্রলীগ সভাপতি খুন
নড়াইল প্রতিনিধি
অভ্যন্তরীণ কোন্দলে নড়াইল সদর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আমিরুল ইসলাম অপু (২৫) প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হয়েছেন। গতকাল বেলা পৌনে বারোটায় শহরের মুচিপোল এলাকায় সন্ত্রাসীরা অপুকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে অপু মারা যান। অপু শহরের নিশিনাথ এলাকার আবদুল হালিম বিশ্বাসের ছেলে। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাজেদুল ইসলাম সাবু ও যুবলীগ নেতা রানা সন্ত্রাসীদের হাতে আহত হন। তাদেরকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপু মারা যাওয়ার খবরে তার গ্রুপের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তারা সদর হাসপাতাল ও পুরাতন বাস টার্মিনালের সোনারগাঁও হোটেলে ভাংচুর চালায়। নিশিনাথতলার কওসার শেখের বাড়িতেও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে তারা। সদর হাসপাতালে লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আহত সাজেদুল ইসলাম সাবু ও রানা জানান, অপুসহ তারা কয়েকজন মুচিপোলে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। এ সময় যুবলীগ নেতা আলমগীর ওরফে কাহার আলম, নান্না, ছাত্রলীগ ক্যাডার অলিদ, মিথুন, সজিব, বাপ্পি, তুষার, রয়েল, আজিমের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা তাদের ঘিরে ফেলে। তারা ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে অপুকে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই অপু মারা যায়। নড়াইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম জানান, আধিপত্যসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে অপু খুন হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত বিষয় জানা সম্ভব হবে।
আহত সাজেদুল ইসলাম সাবু ও রানা জানান, অপুসহ তারা কয়েকজন মুচিপোলে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। এ সময় যুবলীগ নেতা আলমগীর ওরফে কাহার আলম, নান্না, ছাত্রলীগ ক্যাডার অলিদ, মিথুন, সজিব, বাপ্পি, তুষার, রয়েল, আজিমের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা তাদের ঘিরে ফেলে। তারা ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে অপুকে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই অপু মারা যায়। নড়াইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম জানান, আধিপত্যসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে অপু খুন হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত বিষয় জানা সম্ভব হবে।
3.
জাহানমণির মুক্ত নাবিকরা দেশে ফিরছেন আজ
চট্টগ্রাম ব্যুরো
সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশী জাহাজ এমভি জাহান মণির নাবিকরা দেশে ফিরছেন আজ। ২৫ নাবিক ও এক মহিলাসহ অপহৃত ২৬ জন আজ বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছবেন বলে জানিয়েছেন জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান ব্রেভ রয়েল শিপিং ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের মেরিন সুপারিনটেনডেন্ট ক্যাপ্টেন গোলাম মোস্তফা।
গত বছরের ৫ ডিসেম্বর আরব সাগর থেকে বাংলাদেশী পতাকাবাহী জাহাজ এমভি জাহান মণি সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে। জলদস্যুদের হাতে ১০০ দিন আটক থাকার পর ১৪ মার্চ এক নাবিক পত্নী ও ২৫ নাবিকসহ জাহাজটি মুক্তি পায়। মুক্তি পাওয়ার ৫ দিন পর শনিবার সকালে এমভি জাহান মণি ওমানের সালালা বন্দরে নোঙর করে। সালালা বন্দরে পৌঁছার পর ওমানের রাষ্ট্রদূত ও মালিকপক্ষ নাবিকদের বরণ করে নেন। জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পাওয়া নাবিকরা হলেন জাহাজের মাস্টার ফরিদ আহমেদ, চিফ অফিসার আবু নাসের মো. আবদুল্লাহ মজুমদার, সেকেন্ড অফিসার এসএম নূর-ই আলম, থার্ড অফিসার কামরুল হোসাইন, ডেক ক্যাডেট শরিফুল ইসলাম, চিফ ইঞ্জিনিয়ার মতিউল মওলা, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন, থার্ড ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত কুমার মণ্ডল, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সাহাবুল আলম, ইঞ্জিন ক্যাডেট শাহরিয়ার রাব্বী, সিম্যান রুহুল আমিন, এমদাদ হোসাইন, নাজিম উদ্দিন, আবদুল্লাহ ফাত্তাহ ও রবিউল ইসলাম, গ্রেসার ফরিদুল ইসলাম, কিবরিয়া আহমেদ, মোহাম্মদ ইলিয়াছ, চিফ কুক মশিউর রহমান, জেনারেল স্টুয়ার্ড জসিম উদ্দিন, ডেক ফিটার মোহাম্মদ ইদ্রিস, ইঞ্জিন ফিটার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, ফার্স্ট ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আবুল হোসাইন ও তার স্ত্রী রুখসানা বেগম এবং সেকেন্ড ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার আবুল বাশার।
মঙ্গলবার জাহান মণির মুক্ত নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার কথা থাকলেও নাবিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং ওমানের বাংলাদেশ দূতাবাসের তত্পরতায় ভিসা ও ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন হয়ে যাওয়ায় নির্ধারিত দিনের একদিন আগেই তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
আজ বিকাল ৩টায় চট্টগ্রামে পৌঁছার পর নাবিকরা বিমানবন্দর থেকে সরাসরি নগরীর আগ্রাবাদে হোটেল সেন্টমার্টিনে আসবেন। সেখানে জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাদের সংবর্ধনা দেয়া হবে।
গত বছরের ৫ ডিসেম্বর আরব সাগর থেকে বাংলাদেশী পতাকাবাহী জাহাজ এমভি জাহান মণি সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে। জলদস্যুদের হাতে ১০০ দিন আটক থাকার পর ১৪ মার্চ এক নাবিক পত্নী ও ২৫ নাবিকসহ জাহাজটি মুক্তি পায়। মুক্তি পাওয়ার ৫ দিন পর শনিবার সকালে এমভি জাহান মণি ওমানের সালালা বন্দরে নোঙর করে। সালালা বন্দরে পৌঁছার পর ওমানের রাষ্ট্রদূত ও মালিকপক্ষ নাবিকদের বরণ করে নেন। জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পাওয়া নাবিকরা হলেন জাহাজের মাস্টার ফরিদ আহমেদ, চিফ অফিসার আবু নাসের মো. আবদুল্লাহ মজুমদার, সেকেন্ড অফিসার এসএম নূর-ই আলম, থার্ড অফিসার কামরুল হোসাইন, ডেক ক্যাডেট শরিফুল ইসলাম, চিফ ইঞ্জিনিয়ার মতিউল মওলা, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন, থার্ড ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত কুমার মণ্ডল, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সাহাবুল আলম, ইঞ্জিন ক্যাডেট শাহরিয়ার রাব্বী, সিম্যান রুহুল আমিন, এমদাদ হোসাইন, নাজিম উদ্দিন, আবদুল্লাহ ফাত্তাহ ও রবিউল ইসলাম, গ্রেসার ফরিদুল ইসলাম, কিবরিয়া আহমেদ, মোহাম্মদ ইলিয়াছ, চিফ কুক মশিউর রহমান, জেনারেল স্টুয়ার্ড জসিম উদ্দিন, ডেক ফিটার মোহাম্মদ ইদ্রিস, ইঞ্জিন ফিটার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, ফার্স্ট ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আবুল হোসাইন ও তার স্ত্রী রুখসানা বেগম এবং সেকেন্ড ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার আবুল বাশার।
মঙ্গলবার জাহান মণির মুক্ত নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার কথা থাকলেও নাবিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং ওমানের বাংলাদেশ দূতাবাসের তত্পরতায় ভিসা ও ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন হয়ে যাওয়ায় নির্ধারিত দিনের একদিন আগেই তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
আজ বিকাল ৩টায় চট্টগ্রামে পৌঁছার পর নাবিকরা বিমানবন্দর থেকে সরাসরি নগরীর আগ্রাবাদে হোটেল সেন্টমার্টিনে আসবেন। সেখানে জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাদের সংবর্ধনা দেয়া হবে।
4.
৫১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে সালাহউদ্দিন কাদেরের স্ত্রীর মামলা
স্টাফ রিপোর্টার
৫১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠাতা নতুনচন্দ্র সিনহার ছেলে প্রফুল্লচন্দ্র সিনহা, এটিএন নিউজের চেয়ারম্যান, দৈনিক সমকাল পত্রিকার সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক সালমা ইসলাম, দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে ঢাকা জেলা জজ আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী মিসেস ফারহাত কাদের চৌধুরী ঢাকার চতুর্থ যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করলে বিচারক ২২ মে বিবাদীদের জবাব দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, প্রফুল্লচন্দ্র সিনহা ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী গ্রেফতার হওয়ার পর এবং আজ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সাক্ষাত্কারে এসে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে তার বাবা নতুনচন্দ্র সিনহার হত্যার সঙ্গে জড়িত এবং মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীও গুলি করেছেন বলে অভিযোগ করেন। গত ১৮ জানুয়ারি এটিএন নিউজে, ২৫ সেপ্টেম্বর সমকালে, ২৫ জানুয়ারি আমাদের সময়, ২৫ সেপ্টেম্বর যুগান্তরে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠাতাকে হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে সংবাদ পরিবেশন করা হয়।
আর্জিতে বলা হয়, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী কোনোক্রমেই পাকিস্তানি সৈন্যদের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না; অধিকন্তু প্রফুল্লচন্দ্র সিনহার বড়ভাই সত্যরঞ্জন সিনহা ১৯৭১ সালে শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন এবং সরাসরি স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতা করেন। মামলার আর্জির সঙ্গে ১৯৭১ সালের ১৫ জুন সত্যরঞ্জন সিনহাকে শান্তি কমিটির সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেয়ার গেজেট নোটিফিকেশনের কপি দাখিল করা হয়। তাই মামলার বাদিনী বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে নতুনচন্দ্র সিনহাকে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে তাকে রাজনৈতিক, সামাজিক ও আন্তর্জাতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করায় ৫১০ কোটি টাকা দাবি করে ক্ষতিপূরণ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, প্রফুল্লচন্দ্র সিনহা ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী গ্রেফতার হওয়ার পর এবং আজ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সাক্ষাত্কারে এসে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে তার বাবা নতুনচন্দ্র সিনহার হত্যার সঙ্গে জড়িত এবং মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীও গুলি করেছেন বলে অভিযোগ করেন। গত ১৮ জানুয়ারি এটিএন নিউজে, ২৫ সেপ্টেম্বর সমকালে, ২৫ জানুয়ারি আমাদের সময়, ২৫ সেপ্টেম্বর যুগান্তরে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠাতাকে হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে সংবাদ পরিবেশন করা হয়।
আর্জিতে বলা হয়, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী কোনোক্রমেই পাকিস্তানি সৈন্যদের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না; অধিকন্তু প্রফুল্লচন্দ্র সিনহার বড়ভাই সত্যরঞ্জন সিনহা ১৯৭১ সালে শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন এবং সরাসরি স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতা করেন। মামলার আর্জির সঙ্গে ১৯৭১ সালের ১৫ জুন সত্যরঞ্জন সিনহাকে শান্তি কমিটির সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেয়ার গেজেট নোটিফিকেশনের কপি দাখিল করা হয়। তাই মামলার বাদিনী বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে নতুনচন্দ্র সিনহাকে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে তাকে রাজনৈতিক, সামাজিক ও আন্তর্জাতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করায় ৫১০ কোটি টাকা দাবি করে ক্ষতিপূরণ মামলাটি দায়ের করেন।
5.
মাহমুদুর রহমানকে জনগণের আস্থা ধরে রাখতে হবে : কাদের সিদ্দিকী
স্টাফ রিপোর্টার
সদ্য কারামুক্তি উপলক্ষে আমার দেশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম। মাহমুদুর রহমানকে লেখা এক শুভেচ্ছাবার্তায় তিনি কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, তার পরিবার ও দেশবাসীর পক্ষ থেকে তাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, সাংবাদিক জগতের পথিকৃত ইত্তেফাক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া ছাড়া আর কেউ সরকারের রোষানলে পড়ে তার মতো দীর্ঘ সময় কারা নির্যাতন ভোগ করেননি এবং জনগণের আস্থাভাজন সম্পাদকও হননি। দীর্ঘ কারাভোগে তার প্রতি জনগণের যে আস্থা এবং বিশ্বাস জেগেছে, তা যদি লোভ লালসার ঊর্ধ্বে উঠে রক্ষা করেন বা করতে পারেন তাহলে দীর্ঘ সময় জনগণের হৃদয়ে আপনার স্থান ধরে রাখতে পারবেন।
কাদের সিদ্দিকী মাহমুদুর রহমানের দীর্ঘায়ু কামনা করে শুভেচ্ছা বাণীতে আরও বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন ন্যায় ও সত্যের পক্ষে থাকার জন্য তাকে শক্তি দান করুন এবং তার পরিবার পরিজনদের নিরাপদ, সুস্থ রাখুন এ প্রত্যাশা করি।
কাদের সিদ্দিকী মাহমুদুর রহমানের দীর্ঘায়ু কামনা করে শুভেচ্ছা বাণীতে আরও বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন ন্যায় ও সত্যের পক্ষে থাকার জন্য তাকে শক্তি দান করুন এবং তার পরিবার পরিজনদের নিরাপদ, সুস্থ রাখুন এ প্রত্যাশা করি।
6.
সংবিধান ছাড়াই চলছে দেশ -মওদুদ : সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে পুনর্মুদ্রণ হয়েছে -শফিক
সংসদ রিপোর্টার
সংবিধান ছাড়াই দেশ চলছে—এমন অভিযোগ করে এ বিষয়ে সংসদ নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সংসদে ব্যাখ্যা দাবি করেছেন সাবেক আইনমন্ত্রী বিএনপির সিনিয়র সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, সংবিধান নিয়ে দেশবাসী বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছেন। দেশে এখন কোনো সংবিধান নেই। একটি খসড়া সংবিধানের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু এই সংবিধানটিও মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়নি। তাই এই খসড়া সংবিধান অসাংবিধানিক, বেআইনি ও অবৈধ। এই অবৈধ সংবিধানের ওপর ভিত্তি করে দেশ চলতে পারে না। মওদুদ আহমদের এই বক্তব্যের জবাবে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ সংসদকে জানান, সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের আলোকেই সংবিধান পুনর্মুদ্রণ হয়েছে। আর সর্বোচ্চ আদালতের রায় সবাই মানতে বাধ্য। তবে স্পিকার আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেট বলেন, এ প্রসঙ্গ নিয়ে পরে সময় নিয়ে আলোচনা করা হবে। তখন আইনমন্ত্রী ৩০০ বিধিতে জবাব দেয়ার সুযোগ পাবেন।
গতকাল জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনার আগে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর চাইলে স্পিকার আবদুল হামিদ তাকে এক মিনিটের জন্য ফ্লোর দেন। মওদুদ আহমদ বলেন, সংবিধান নিয়ে দেশের মানুষ চরম বিভ্রান্তিতে আছেন। সংবিধান পুনর্মুদ্রণ করা হয়েছে। আইনমন্ত্রী বলেছেন পুনর্মুদ্রিত সংবিধান অনুযায়ী দেশ চলবে। আবার তিনি বলেছেন, সংবিধান সংশোধনের একমাত্র অধিকার সংসদের। আসলে কোনটি মূল সংবিধান। অথচ সংবিধান সংশোধনের ক্ষমতা আদালতকে দেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, এই সংবিধান সংশোধন নিয়ে আইনমন্ত্রী ও সংবিধান সংশোধনে গঠিত বিশেষ কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের দ্বন্দ্ব রয়েছে। আইনমন্ত্রী নিজেও জানেন সংবিধান সংশোধনের এখতিয়ার আদালতের নেই। এই ঘটনার সূত্রপাত যখন হয় আমরা বিরোধী দল হিসেবে আপত্তি তুলেছিলাম। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আমাদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছিলেন। তখন বলা হয়েছে, সংসদে সংশোধনী প্রস্তাব পাস করা হবে। কিন্তু তা হয়নি। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট বক্তব্য আশা করি।
এই পর্যায়ে স্পিকার আবদুল হামিদ মওদুদকে উদ্দেশ করে বলেন, এ নিয়ে আপনি কথা বলতে চাইলে আরও অনেকে কথা বলতে চাইবে। কিন্তু সংবিধান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই এ নিয়ে এখানে কোনো বিতর্ক সৃষ্টির সুযোগ নেই। পরে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ফ্লোর চাইলে তাকেও ১ মিনিট সময় দেন স্পিকার। এ সময় আইনমন্ত্রী বলেন, মওদুদ আহমদ নিশ্চয়ই জানেন সামরিক ফরমান দিয়ে কখনও সংবিধান পরিবর্তন করা যায় না। একমাত্র সংসদই সংবিধানে সংযোজন-বিয়োজন করতে পারে। কিন্তু তারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন; তখন জিয়াউর রহমানের আমলে সামরিক ফরমান দিয়ে সংবিধান পরিবর্তন করা হয়েছে।মহামান্য কোর্ট ওই অংসাংবিধানিক বিধানগুলো বাদ দিয়েছেন। পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করে সংবিধানকে পুনস্থাপিত করেছেন। ওই রায় অনুযায়ী আমরা সংবিধান পুনর্মুদ্রণ করেছি। আর এটাই সঠিক। এখানে কোনো জটিলতা নেই। সুপ্রিমকোর্ট যে রায় দেবেন তা সবাইকে মেনে নেবেন—এটাই আইনের বিধান।
গতকাল জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনার আগে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর চাইলে স্পিকার আবদুল হামিদ তাকে এক মিনিটের জন্য ফ্লোর দেন। মওদুদ আহমদ বলেন, সংবিধান নিয়ে দেশের মানুষ চরম বিভ্রান্তিতে আছেন। সংবিধান পুনর্মুদ্রণ করা হয়েছে। আইনমন্ত্রী বলেছেন পুনর্মুদ্রিত সংবিধান অনুযায়ী দেশ চলবে। আবার তিনি বলেছেন, সংবিধান সংশোধনের একমাত্র অধিকার সংসদের। আসলে কোনটি মূল সংবিধান। অথচ সংবিধান সংশোধনের ক্ষমতা আদালতকে দেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, এই সংবিধান সংশোধন নিয়ে আইনমন্ত্রী ও সংবিধান সংশোধনে গঠিত বিশেষ কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের দ্বন্দ্ব রয়েছে। আইনমন্ত্রী নিজেও জানেন সংবিধান সংশোধনের এখতিয়ার আদালতের নেই। এই ঘটনার সূত্রপাত যখন হয় আমরা বিরোধী দল হিসেবে আপত্তি তুলেছিলাম। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আমাদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছিলেন। তখন বলা হয়েছে, সংসদে সংশোধনী প্রস্তাব পাস করা হবে। কিন্তু তা হয়নি। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট বক্তব্য আশা করি।
এই পর্যায়ে স্পিকার আবদুল হামিদ মওদুদকে উদ্দেশ করে বলেন, এ নিয়ে আপনি কথা বলতে চাইলে আরও অনেকে কথা বলতে চাইবে। কিন্তু সংবিধান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই এ নিয়ে এখানে কোনো বিতর্ক সৃষ্টির সুযোগ নেই। পরে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ফ্লোর চাইলে তাকেও ১ মিনিট সময় দেন স্পিকার। এ সময় আইনমন্ত্রী বলেন, মওদুদ আহমদ নিশ্চয়ই জানেন সামরিক ফরমান দিয়ে কখনও সংবিধান পরিবর্তন করা যায় না। একমাত্র সংসদই সংবিধানে সংযোজন-বিয়োজন করতে পারে। কিন্তু তারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন; তখন জিয়াউর রহমানের আমলে সামরিক ফরমান দিয়ে সংবিধান পরিবর্তন করা হয়েছে।মহামান্য কোর্ট ওই অংসাংবিধানিক বিধানগুলো বাদ দিয়েছেন। পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করে সংবিধানকে পুনস্থাপিত করেছেন। ওই রায় অনুযায়ী আমরা সংবিধান পুনর্মুদ্রণ করেছি। আর এটাই সঠিক। এখানে কোনো জটিলতা নেই। সুপ্রিমকোর্ট যে রায় দেবেন তা সবাইকে মেনে নেবেন—এটাই আইনের বিধান।
7
চিকিত্সার জন্য সৌদী গেলেন খালেদা জিয়া : মির্জা ফখরুল ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব
স্টাফ রিপোর্টার
বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া চিকিত্সার জন্য সৌদি আরব গেছেন। সৌদী সরকারের আমন্ত্রণে গতকাল রাত সোয়া ৯টায় বিমানযোগে সৌদি আরবের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি। সৌদি আরব যাওয়ার প্রাক্কালে বেগম খালেদা জিয়া দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দায়িত্ব দিয়ে গেছেন। বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
উল্লেখ্য, খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন গত বুধবার ইন্তেকাল করায় দলের মহাসচিবের পদ শূন্য হয়। বিএনপি সূত্র জানায়, বেগম জিয়া সৌদি আরবের বিখ্যাত কিং আবদুল আজিজ হাসপাতালে তার পায়ের চিকিত্সা নেবেন। এ সময় তিনি ওমরাহ পালন করবেন। আগামী ২৯ মার্চ তার ঢাকায় ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে।
বেগম খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হয়েছেন তার ভ্রাতৃবধূ বেগম কানিজ ফাতেমা, প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, বিশেষ সহকারী মাহবুব আল আমিন ডিউ, একান্ত সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ, ফটোগ্রাফার নুরুদ্দিন আহমেদ নুরু।
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদায় জানাতে গতকাল রাতে বিমানবন্দরে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম কে আনোয়ার, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ড. আবদুল মঈন খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র সাদেক হোসেন খোকা, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মে. জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী, ড. ওসমান ফারুক, আবদুল হালিম, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আবদুল কাইয়ুম, বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, বরকতউল্লা বুলু, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, এম ইলিয়াস আলী, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নাজিমউদ্দিন আলম, আবুল খায়ের ভুইয়া এমপি, শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি এমপি, হাবিব উন নবী খান সোহেল, লুত্ফুর রহমান কাজল, আবদুস সালাম, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সানাউল্লাহ মিয়া, নূরী আরা সাফা, অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, শিরীন সুলতানা, রেহেনা আক্তার রানু, নিলুফার চৌধুরী মনি, সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া, শাম্মী আক্তার, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, আজিজুল বারী হেলাল, মীর সরাফত আলী সপু, সাইফুল আলম নিরব, আ ক ম মোজাম্মেল, শফিউল বারী বাবু, হাফেজ আবদুল মালেক, রফিক শিকদার, শহিদুল ইসলাম বাবুল, আমিরুজ্জামান খান শিমুল প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, এর আগে সৌদী বাদশাহর আমন্ত্রণে বেগম খালেদা জিয়া গত বছরের ৩০ আগস্ট সে দেশ সফর করেন।
মির্জা ফখরুল মহাসচিবের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পেলেন
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পেয়েছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল রাতে সৌদি আরব যাওয়ার প্রাক্কালে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া তাকে এ দায়িত্ব দিয়ে যান বলে জানান বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক।
আমার দেশকে তিনি বলেন, বিমানবন্দরে ম্যাডাম আমাকে বলেছেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ আমার দেশকে বলেন, ম্যাডাম সৌদি আরবে চিকিত্সার জন্য গেছেন। মহাসচিব নেই। এ অবস্থায় তিনি সাংগঠনিক কার্যক্রম দেখাশোনায় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দায়িত্ব পালনের জন্য বলে গেছেন।
উল্লেখ্য, খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন গত বুধবার ইন্তেকাল করায় দলের মহাসচিবের পদ শূন্য হয়। বিএনপি সূত্র জানায়, বেগম জিয়া সৌদি আরবের বিখ্যাত কিং আবদুল আজিজ হাসপাতালে তার পায়ের চিকিত্সা নেবেন। এ সময় তিনি ওমরাহ পালন করবেন। আগামী ২৯ মার্চ তার ঢাকায় ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে।
বেগম খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হয়েছেন তার ভ্রাতৃবধূ বেগম কানিজ ফাতেমা, প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, বিশেষ সহকারী মাহবুব আল আমিন ডিউ, একান্ত সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ, ফটোগ্রাফার নুরুদ্দিন আহমেদ নুরু।
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদায় জানাতে গতকাল রাতে বিমানবন্দরে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম কে আনোয়ার, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ড. আবদুল মঈন খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র সাদেক হোসেন খোকা, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মে. জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী, ড. ওসমান ফারুক, আবদুল হালিম, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আবদুল কাইয়ুম, বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, বরকতউল্লা বুলু, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, এম ইলিয়াস আলী, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নাজিমউদ্দিন আলম, আবুল খায়ের ভুইয়া এমপি, শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি এমপি, হাবিব উন নবী খান সোহেল, লুত্ফুর রহমান কাজল, আবদুস সালাম, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সানাউল্লাহ মিয়া, নূরী আরা সাফা, অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, শিরীন সুলতানা, রেহেনা আক্তার রানু, নিলুফার চৌধুরী মনি, সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া, শাম্মী আক্তার, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, আজিজুল বারী হেলাল, মীর সরাফত আলী সপু, সাইফুল আলম নিরব, আ ক ম মোজাম্মেল, শফিউল বারী বাবু, হাফেজ আবদুল মালেক, রফিক শিকদার, শহিদুল ইসলাম বাবুল, আমিরুজ্জামান খান শিমুল প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, এর আগে সৌদী বাদশাহর আমন্ত্রণে বেগম খালেদা জিয়া গত বছরের ৩০ আগস্ট সে দেশ সফর করেন।
মির্জা ফখরুল মহাসচিবের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পেলেন
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পেয়েছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল রাতে সৌদি আরব যাওয়ার প্রাক্কালে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া তাকে এ দায়িত্ব দিয়ে যান বলে জানান বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক।
আমার দেশকে তিনি বলেন, বিমানবন্দরে ম্যাডাম আমাকে বলেছেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ আমার দেশকে বলেন, ম্যাডাম সৌদি আরবে চিকিত্সার জন্য গেছেন। মহাসচিব নেই। এ অবস্থায় তিনি সাংগঠনিক কার্যক্রম দেখাশোনায় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দায়িত্ব পালনের জন্য বলে গেছেন।
No comments:
Post a Comment